কিভাবে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করবেন
১,২৪৫ বার দেখা
উপকূলীয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষা ব্যবস্থার বিবর্তন নিয়ে এই লেখা। কিভাবে সময়ের সাথে সাথে আমাদের পাঠদান পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
১৯৯০ এর দশকে আমাদের স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে সময়ে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা ছিল সীমিত। পাঠদান পদ্ধতি ছিল মূলত প্রচলিত লেকচার ভিত্তিক। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব ছিল, কিন্তু শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সেই সীমাবদ্ধতা অনেকাংশে পুষিয়ে দিত।
সে সময়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিও ছিল ভিন্ন। বার্ষিক পরীক্ষাই ছিল মূল্যায়নের প্রধান মাধ্যম। ক্রমাগত মূল্যায়ন বা সিসিএ পদ্ধতি তখন চালু হয়নি। তবে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।
নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে আমাদের স্কুলে এসেছে নানা ধরনের পরিবর্তন। সরকারি উদ্যোগে এবং কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সহায়তায় স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আসতে শুরু করে।
"শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা নয়, বরং একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠা।"
এই সময়কালে পাঠ্যক্রমেও আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। ইংরেজি ও গণিত শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন বিতর্ক, আবৃত্তি, খেলাধুলার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত এক দশকে আমাদের স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে স্কুলে চালু হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। পাঠদান পদ্ধতি হয়েছে আরও ইন্টারেক্টিভ ও অংশগ্রহণমূলক।
বিষয় | ১৯৯০-২০০০ | বর্তমান |
---|---|---|
শিক্ষার্থী সংখ্যা | প্রতি শ্রেণীতে ৭০-৮০ জন | প্রতি শ্রেণীতে ৪০-৫০ জন |
শিক্ষক সংখ্যা | ১৫ জন | ৩২ জন |
পাঠ্যক্রম | মূল বিষয়কেন্দ্রিক | বিষয়ভিত্তিক + দক্ষতা উন্নয়ন |
প্রযুক্তি ব্যবহার | সীমিত | ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব |
মূল্যায়ন পদ্ধতি | বার্ষিক পরীক্ষা | ক্রমাগত মূল্যায়ন + বার্ষিক পরীক্ষা |
আমাদের স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে:
উপকূলীয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার এই বিবর্তন আমাদের গর্ব করার মতো। তবে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে হবে, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এই অগ্রযাত্রায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। আপনারাও এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন
অসাধারণ লেখা! ১৯৯৫ সালে আমি যখন এই স্কুল থেকে পাস করি, তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থার পার্থক্য সত্যিই অবাক করার মতো। বিশেষ করে বিজ্ঞান গবেষণাগারের উন্নতি দেখে আমি অভিভূত।
প্রফেসর রফিকুল ইসলাম
ধন্যবাদ মামুন। তুমি যে সময়ে পড়েছ, সে সময়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিক্ষকদের আন্তরিকতা ছিল অসীম। তোমার মত মেধাবী শিক্ষার্থীরা আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
ফারহানা ইয়াসমিন
লেখাটি পড়ে আমার পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ২০০৫ সালে আমি যখন এই স্কুলে পড়তাম, তখনও ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হয়নি। বর্তমান শিক্ষার্থীরা সত্যিই ভাগ্যবান।
আরিফুল হক
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো খুবই আশাব্যঞ্জক। বিশেষ করে রোবোটিক্স ও কোডিং ক্লাবের কথা শুনে আমি খুবই উৎসাহিত। কিভাবে আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগগুলোতে সহায়তা করতে পারি?